Symphony

Amidst the grey azure,
Beethoven Symphonies thundering aloud,
I saw my world fumbling over some broken guitar strings...

A sudden cupid breeze,
And there she came....
Walking down those shabby pages of my life....

Thou,
Being the best choir of my Bohemia..
Being the hardest tide on my heart's sand...
Came with the spring blossoming all over..

Me,
Broken by the past scratches ,
Wounded by the coarse ink of destiny,
Again stepped on the mirage of ecstasy...

A heart that still beats..
Smokes out dark fumes of burnt pages..
For thou set them on fire...

Dear Love,
A weak heart calls it The End...
The End of symphonized Hours....

Death seems laughing over life's rooftop...
My Life,
Its over again.....

বিদায়বেলা...

কে জেনো ডাকছে আমায়৷ গভীর রাত্রে,জীবন্ত মৃত্যু বরণে মেতে উঠেছে মন.হাসফাঁস করছে বেঁচে থাকার স্মৃতিরাশি৷ বিথোভেনের থার্ড সিমফোনির ছন্দে এগোচ্ছে এ মৃত্যুমুখী প্রাণ৷ শুরু টা বড্ড বিষাদগ্রস্ত,তবে প্রতিটি ঝনঝন শব্দে কীসের যেন সংকেত৷ সংকেত বোধহয় নতুনদের আগমনের,সমাজের বুক চিড়ে আজ উর্দ্ধগামী নতুনের দল৷ সহস্র যুগের ব্যথিতার কোলে বসে তীব্র গলার স্বরে কম্পিত সারা পৃথিবীর জীবন৷
                                  কে যেন আমায় ডাকছে.স্বর্গ মর্ত্য কিছু নেই যেখানে,যেখানে নেই ক্ষমতা আর জেহাদের লড়াই,আমার ডাক পড়েছে সেখানে৷ বিথোভেনের মৃত সুরগুলোতে কারা যেন গভীর আর্তনাদকে জন্ম দিচ্ছে৷  আমার মৃত্যুর যন্ত্রণা থেকে জন্ম নিক অজস্র নারী সন্তান৷ যে নারীরা জন্ম দেবে নতুন প্রজন্মের তরুণকে৷  বহু অত্যাচারিত আজ তারা মোমবাতি মিছিলের ভিড়ে৷ আজ আমার মৃত্যু-ঢ্যাঁড়াপেটানোর ছন্দে আবার দমন হোক অত্যাচারী  শ্রেণি৷
          অবশেষে এসে পড়লে মৃত্যু? একটু দাঁড়াবে? এ অনন্ত জীবন ভরে দেখেছি কতো স্বপ্ন, বেঁধেছি কত আশার ঘর৷ সব যে আজ ভঙ্গুর এ এগিয়ে চলার মাঝে৷ কিছু স্বপ্নকে জলাঞ্জলি দিয়েছিলাম সুবর্ণরেখার তীরে,আমরা ঘর ছেড়ে রিফিউজি পদবির আশ্রয় নিয়েছিল৷  কত ব্যথা আজ এ বুকে আটকে.মুক্তি দেব আজ সব কিছুকে,আর ক্ষণিকের অপেক্ষা৷
হে পৃথিবী শুনতে পাচ্ছ?
আজ এ অন্তিম সাঁঝবেলায় তোমার কাছে কিছু প্রশ্ন রেখে গেলাম...
আচ্ছা কিসের এ ধর্ম,কিসের এ দেশপ্রেম,কিসের এ দেশভাগ??...
সব যে মিথ্যা এগুলো ,তুমি বোঝ না?
আমার মত তোমার এ সংসার ছেড়ে চলে যাবে কত মনীষির দল৷ তাহলে কেন এ মিথ্যাচার?
কিসের দেশ? কিসের দেশ ভাগ?কিসের এত হিংস্রতা?
সবার আগে যে মানব জাতি ,ভুলে গিয়েছে সব?
আসি তবে...
কথা দাও হে পৃথিবী,
হে প্রিয়,  হই আজ পর...তবু এ বুকে তোমার সহস্র স্মৃতির মালা৷  রেখো একটি অনুরোধ মাত্র... করো না আমায় এ আকাশ-সবুজের থেকে একা...
ফিরে আসব আবার আমি কোনও এক নতুন বসন্তের হাওয়া হয়ে...
বন্ধু বিদায়...

6th আগাস্ট..

আগে অনেকবার দেখেছি তাকে৷ কখনো আমার ঘুমের ফাঁকে হঠাৎ হেটে যাওয়া প্রিয়তমার রূপে আবার কখনো আমার হাতে ফুটে ওঠা চিত্র রূপে৷ দেখেছি তাকে সহস্র মানুষের ভীড়ে৷ খুঁজেছি তাকে অনেক পূরনো বইয়ের রাশির মাঝে৷ খুজে ক্লান্ত হয়ে সেদিন বসে ছিলাম কোনও অজানা নিষ্প্রাণ পাথর দলের মাঝে৷ হঠাৎ চোখ পড়ল তার দিকে.আজ সে স্বপ্নে বা চিত্রে নয়,আজ সে ফুটে উঠেছে ঈশ্বরের সৃষ্টিতে৷ কিছুক্ষণ চুপ করে বসে ডাকলাম তাকে৷ না কথা বলা হয়নি তখনো৷ আমি যে শব্দহীন৷ মনটা বার বার চলে যাচ্ছিল তার চোখের কাজলের নীচে৷ আর সজোরে মন বলতে লাগল... এঁকেছ তুমি যাকে গভীর নিদ্রাহীন রাতের নিস্তব্ধতায়, সে যে আজ তোমার সামনে দাড়িয়ে...
আমি জিজ্ঞাসা করলাম তাকে অনেক কিছু.কিছু প্রশ্নের উত্তর পেলাম আর কিছুর না পাওয়া রয়ে গেল৷
তারপর বেশ কিছুবার কথা হয়েছিল... সব ব্যস্ততার মাঝেও সে খুব প্রিয় ছিল৷
কখনো তাকে মুখ ফুটে বলা হয়নি যে সে কতো টা প্রিয় আমার কাছে৷ সে কখনো বুঝতেও বা পারল কই৷ আসলে অনেক কথা ছিল যেগুলো হয়তো বা বলা হয়নি বা বলা যায়নি৷ সে যে কিছু বুঝবে এটাই বা কবে এক্সপেক্ট করলাম?...
তবে আর বুঝে বা বুঝিয়ে কিছু লাভ নেই৷ অনেক ব্যথায় কাতর এ হৃদয় আজ নতুন ব্যথার স্পর্শ পেয়েছে৷ না জানাই থাক তাই ভাল লাগা গুলো৷ কখনো সে যদি খুঁজতে চায় তাকে ঠিকানা দিয়ে দেব সেই চিলেকোঠার ঘরের যেখানে শব্দ আর ভাল লাগাগুলো বন্দি৷ তার আগে থাক না হঠাৎ পথ চলতে চোখে চোখ পড়া হাসিগুলো,কখনো মাঝরাতে অনেক রাগারাগিগুলো৷ 
কে যেন সেদিন বলছিল,"একতর্ফা প্রেম বলে কিছু হয় নাকি আবার...,যতো সব রূপকথার সিঁড়ি গড়ে তোলা"
মাথা নীচু করে সেদিন জবাব দিয়েছিল," রূপকথা ই সই ,তবু তো সে আমার"  ৷৷৷

শূন্যস্থান পূরণ

......দাদু এসো শূন্যস্থান পূরণ খেলি...
"অবসর দুপুরগুলো এরকম ভাবেই কাটছিল৷ আসলে বয়স হয়েছে তাই ছেলে বলেছে এবার কাজ কর্মকে বিদায় জানাতে৷ তার মতে এখন আরামের সময় আমার৷ আরাম বলতে ওই সকালে রোদ ঠেঙ্গিয়ে,ঘামের গন্ধে মিশে বাজার করে আনা আর বাকি দিনটা নাতির দেখাশুনো করা৷ বউমাও আজকাল খুব শশুড় যত্নে মগ্ন৷ সকালে যদি ব্রেকফাস্ট টেবিলে খাবার পৌছতে পাঁচ মিনিট দেরি হয় তাহলেই রাগে স্বর্গত শাশুড়িকে আবার ইহলোকে নামিয়ে আনে পারলে৷ আমি তো তুচ্ছ তার তুলনায়৷  তবে নাতিকে নিয়ে বেশ ছিলাম, সে কখনো ছেলে বউয়ের আদর আপ্পায়ণের পদ্ধতি অবলম্ব করে নি৷ তার সাথে সম্পর্কটা বন্ধুত্বের ছিল৷ তারপর ছেলের বিলেতে চাকরির সুযোগ এলো৷ বললাম তাকে যে বাড়িতে আমি একাই থাকব,তোমরা যাও৷ আসলে ওখানকার লিভিং স্ট্যান্ডার্ডটা খুব হাই তো৷ তাই মানাতে পারব না জেনেই বলেছিলাম এই কথা৷ তারপর আর কি....
ছেলে হয়তো ভাবল যে বাবাকে একা রেখে কী করে যাই৷ তাই বাড়িটা বিক্রি করে আমায় এখানে পাঠিয়ে দিল৷ বাকি সব সম্যবয়সি মস্তিস্কের সাথে যাতে ভাল করে বাঁচতে পারি৷" , বলে বৃদ্ধাশ্রমের বৃদ্ধটি হালকা হাসল৷
হাসিটা আদতে আনন্দের ছিল না সেটি তার মুখের হাবভাবে পরিস্কার ছিল৷
সামনে বসে থাকা মানুষটি কতোটা বুঝল জানি না ,তবে সে বললে, "আচ্ছা আপনি এবার আসুন...."
" রামু পরের জনকে ঘরে পাঠাও..."
বৃদ্ধ লোকটা ঘর থেকে বেড়িয়ে গেল মুখের সেই কৃত্তিম হাসিকে সঙ্গী করে৷
আসলে সে বুঝতে পেড়েছিল যে এখানে তার দুঃখের কথা কেউ শুনতে আসনি৷ আসলে এখানে তো তাদের মতো মানুষদের নিয়ে ডকুমেন্টারি বানাতে এসেছে একদল চলচ্চিত্র জগতের লোক৷ তাদের তো শুধু শোনবার সময় আছে ,বুঝবার নয়৷

মোকেম্বো কান্ড

-পাল্টাছেনা তো মশাই,কিছুই পাল্টাছেনা৷
- পাল্টে আর কি বা হবে? আগে ছিল Casteism এখন হয়েছে Racism.
-উফ! তাই বলে মোকেম্বোতে যা হলো সেটা মেনে নেব চুপচাপ? এর তো বিহিত চাই৷
- মেনে নিতে শিখছো তো বেশ, তাই জন্যই তো তোমার বাড়ির কাজেরলোক মাটিতে বসে খায় আর তুমি টেবিল-চেয়ারে৷
-আমি বলছিলাম কি যে..ইয়ে..মানে বুঝছেন কিনা?
-ঘর জ্বালানি পর ভোলানি না হয়ে এবার একটু মানুষ হতে চেষ্টা করো বাবা....সব পাল্টাবে তাহলে...

ডায়রি...

"মধ্যবিত্ত জীবনের চাওয়া পাওয়া বলতে ভাল চালের ভাত আর মাথার ওপর হাই স্পিড ইলেকট্রিক পাখা৷ সকালবেলাটা কাটে বাজারের ফর্দ বানানোতে আর বাকি দিনটা হিসাব মেলানোতে৷ হাজার হোক খেটে ইনকাম করা পয়সা,হিসাব তো রাখা চাই৷ তবে টিভিটা কিন্তু সব কিছুর সাথে ইনক্লুডেড ৷ আসলে সিরিয়ালের নেশা আছে বউয়ের আর আমার খবরের চ্যানেল গুলোতে ঢু মারার স্বভাব অবসর সময়তে৷ তবে অবসর সময়টা প্রায় খুব কম বললেই চলে৷ নাহ চাকরি-বাকরি করি না আর, তবে বউয়ের সিরিয়ালগুলো যে শেষ হওয়ার নামই নেয় না, তাই আমার অবসর সময়ও আসে না৷ সারাদিন ডায়রি হাতে নিয়ে বাজার-মুদিখানার হিসাব করতে থাকি৷ বেশ ভালই এগচ্ছে জীবন৷ সেদিন বিকেল থেকে মনে সখ জেগেছিল বউকে নিয়ে বাইরে খেতে যাব৷ তাই দেরি না করে আজ রাতের ডিনারের প্ল্যান করলাম৷ ছেলে থাকে বিলেতে,এখানে রয়ে গেছি বলতে শুধু দুই বুড়ো-বুড়ি ই৷ ডিনারের ইচ্ছে টা বুড়ো বয়সের ভীমরতিই বলা যেতে পারে৷ বৃদ্ধ বয়সের ভালবাসাটাও জানো খুব সৌখিন হয়৷ এই তো বেলা শেষ,জানি না আবার কোন জন্মে দেখা হবে৷ তাই হারিয়ে ফেলার আগে বারুক না একটু টান,বাড়ুক একটু ঘনিষ্ঠতা৷ আমায় হারিয়ে নালে সে আমায় খুঁজে পাবেই বা কি করে? পূরনো স্মৃতিগুলো দিয়ে তাকে কাঁদাতে চাইনা তাই নতুন স্মৃতি গড়বার চেষ্টায়...."
ডায়রির পাতাটা উলটে গেল৷
এরপর শুধু শূন্যতা৷ বৃদ্ধার চোখে জল আর মনে আছড়ে পড়ছে অজস্র কালবৈশাখী৷ সেদিন বউয়ের জন্য সারপ্রাইস প্ল্যান করে সে গিয়েছিল ফুলের দোকানে৷ বউয়ের যে ফুলের সখ৷ ফেরার পথে লরির ধাক্কায় মৃত্যু৷
জীবনটা তার সাথে প্রতারণা করলেও তার ভাবনা চিন্তায় কিন্তু এক ফোটাও বেইমানি ছিল না ৷
বাইরের বৃষ্টিটা বেশ বেড়েছে৷ বৃদ্ধা তখন ডায়রিটা বন্ধ করে চোখের জল মুছবে মুছবে করছে, জানলা দরজা বন্ধ করতে হবে যে৷ তখন এক দমকা হাওয়ায় ডায়রিটা আবার খুলে গেল৷ অন্ধকারে তার চোখের সামনে ভেসে উঠল ডায়রির খুলে যাওয়া পাতায় লেখা একটি লাইন,
"আর একশ বছর আমি বাঁচবোই,হোক না এ পথ-ঘাট ফাঁকা"
বৃদ্ধার চোখের জল যেন বাইরের বৃষ্টিকেও হার মানাল৷

কুরবানী...

ছুটির সকালে খোশ মেজাজে বাজার হাতে ফিরছি৷ হঠাৎ রাস্তার ধারে ভীড়ের জটলা দেখে কৌতূহলী হয়ে পড়লাম৷ এগতেই চোখে পড়ল একটি শিশুর রক্তাক্ত মৃতদেহ আর তার পাশে লুটছে তার বাবার সহস্র স্বপ্নের বাঁধ যা আজ ভঙ্গুর ,ছেলের মৃত্যু শোকে৷ শুনলাম তাদের ছাগলটা বাঁধা ছিল পাশের পোলটার সাথে৷ বাজার করে বেড়িয়ে ছেলেকে ছাগলটি খুলে আনতে বলাতেই এই দুর্ঘটনা৷
বাড়ি ফেরবার পথে মনে হলো একদম অ্যাপ্রোপিয়েট কুরবানীই তো এটা৷ যাই হোক ছাগলটা তাহলে প্রাণে বাঁচল৷ তবে মন বললে, মিথ্যা কুরবানী বন্ধ না হলে এরকম প্রাণ হারাবে কতো রাম-রহিমের দল৷ তারা হয়তো কুরবানীর মানে টাই বুঝল না৷ 
কুরবানী মানে হয়তো নিজের কুসংস্কার, অতিরিক্ত রাগ, খারাপ অভ্যাস গুলো ত্যাগ করে নতুন আমি কে খোঁজা৷ প্রশ্ন তাহলে একটাই,এ গুলো প্রিয় আর কাছের হলো কই?
আচ্ছা এগুলো প্রিয় না হলে কুরবানীর নামে নিরীহ প্রাণের দমন কেন?
তুমি যে পৃথিবীতে বাস করো,তোমাকে ঘিরেছে যে হাওয়ার দল ,সেখানে পরিবর্তন ঘটাও৷
ভাবনা চিন্তাগুলো সাজাতে শিখুন মশাই, কুরবানী প্রতি বছর আসবে৷

জীবনতৃষ্ণা

জন্মের পর সহস্র পথ ছুটে চলে মৃত্যুকে বরণ করেছে যে জীবন তার জন্য তোলা থাক দুফোটা বিষের ইমানদারি৷ মৃত্যুর জন্য পথ চেয়ে বসে থাকা জীবনকে জানাই বিষাদের কুর্ণিশ৷ মৃত্যু আসবে তোমারও আমারও৷ বরণীয়রা স্মরণীয় হবে আর চিলেকোঠা গুলো ধুলোতে মোড়াবে৷ আরাম-কেদারায় যক্ষ পা দোলাবে আর রেডিওতে ভাসবে জীবনের ইতি-সঙ্গীত৷  অপারেশনের টেবিলে ঘাম ছুটবে টুকে পাস হওয়া ডাক্তারের আর হসপিতালের মেঝেতে লুটবে মৃতদের সাথী৷ পরিক্ষায় ফেল করা ছাত্রের রেল লাইনে তৃষ্ণার্ত গলা আর বাড়ির উঠনে সজ্জিত তার পরাস্ত লাশ৷
জীবনের খোঁজে ছুটেছে আজ ভবঘুরেদের দল আর বাকিরা পরাস্ত আজ মৃত্যুর মায়াবী-কাননে৷ সব মুখে এককথা, ভাল ভাবে মরা চাই৷ জীবন তাই দিশাহারা,
"দেখা হবে আবার কখনো খুব ভোরে"

পথের ফাঁকে...

ভাবছি বেশ তো বয়স হলো, এবার অবসর নিয়েই ফেলি৷ এই সেদিন ই যন্ত্রণায় কাতর সারারাত৷ সকালে দেখলাম সরকারি দপ্তর থেকে লোক এসে মেরামত করে দিয়ে গেল ভেঙ্গে যাওয়া জায়গাটা৷ তারপর এই একটু স্বস্তিতে আছি বেশ কদিন৷ জানো বুঝতে পারি যে দিন ফুরিয়ে এসেছে যখন সদ্য হওয়া বৃষ্টির জলে ভরে ওঠে এ দেহে তৈরি হওয়া নতুন ফাঁক-ফোঁকর৷
দীর্ঘ ৮০ বছর ধরে দেখে চলেছি এ পৃথিবীতে জীবনের আনাগোনা৷ অদ্ভুত বিষাদ জন্মেছে আজ এ পৃথিবীর পরিবর্তিত রূপ দেখে৷ পাশে একটা বড় খাল ছিল৷ বেশ ঠান্ডা হাওয়া আসত সেখান থেকে৷ খুব গরমে যখন ফাটছে আমার পিচের স্তর তখন স্বস্তির নিশ্বাস হয়ে বয়ে আসত সেই নবপ্রয়াত খালের বাতাস৷ অবসর নিঝুম রাতে যখন জেগে বলতে শুধু আমি আর অনেক সময়ের তফাতে আমার ওপর দিয়ে যাওয়া লরির দল তখন সেই খালটি ই ছিল আমার বন্ধু৷ আজ সে ইতিহাস,তার অস্তিত্বে আজ দাগ কেটেছে তার ওপর উঠে যাওয়া লম্বা ফ্ল্যাটবাড়ি৷ কতো পথিকের তৃষ্ণা মিটিয়ে আজ সে রয়ে গিয়েছে হয়তো কোনও তৃষ্ণার্ত কবির কলমের দাগে৷
সেদিন দেখলাম "বলো হরি,হরি বল" বলতে বলতে চলেছে কিছু মানুষের দল৷ দেখি তাদের পিঠে চলেছে হারুর মায়ের মৃতদেহ৷ হ্যাঁ আমি চিনি তাঁকে৷ তাঁকে দেখতাম রোজ বসে স্বপ্নের নগর সাজাতে৷ দুই কূলে তার নিজের বলতে শুধু একটি ছেলে৷ বর টাও বা ঘর সংসার করল কই? বরের অকাল বিরহ ও ভবঘুরে স্বভাবের কারণেই সংসারটা টিকল না৷  তবে যখনই কোনও মৃতদেহকে কাঁধে করে নিয়ে যেতে দেখত সে, তখন তাঁর চোখ থেকে দু ফোটা জল পড়তো আমার ওপর৷ সে মনে মনে স্বপ্ন গড়ত যে একদিন তার দেহটিকেও ঠিক এরকম ভাবে নিয়ে যাওয়া হবে৷ আসলে ছোট্টবেলা থেকে সে কখনো সুখের মুখ দেখেছিল না৷ তার সে স্বপ্ন সাজিয়েছিল সুখে মরবার৷ আজ তার স্বপ্নটিকে বাস্তব হতে দেখে মনটা শান্তির আভাষ পেল৷
তবে এটা মনে হতেই পারে যে এই নগণ্য একটা রাস্তা ,তার আবার এত চিন্তা-ভাবনা৷  রাজপথ হলেও নয় একটা কথা ছিল৷
আসলে রাজপথ নই বলে যে স্মৃতিরাশির অভাব ঘটা উচিত,এর কি কোনও মানে আছে? হয়তো আমার ওপর দিয়ে চলেনি কখনো একটিও রাজার রথ,পড়েনি কখনো কোনও রাজ- ঐশ্বর্যের ধুলো৷ তবে যখন যখন আমার ওপর দিয়ে বাসে চড়ে মানুষের দল তাদের স্বপ্ন পূরণের জন্য শহরের দিকে এগিয়েছে,তখন তাদের স্বপ্নের অংশীদার ছিলাম আমিও৷ যখন ক্লান্ত পথিক আমার ধারে বেড়ে ওঠা গাছের নীচে আশ্রয় নিয়েছে,তখন স্বস্তির নিশ্বাস নিয়েছি আমি৷
জানো বেশ বছর খানিক আগে হঠাৎ লরির ধাক্কায় প্রাণ হারাল এক শিশু৷ সেদিন রক্তে রক্তাক্ত হয়ে উঠেছিল আমার এ শরীর৷ কতো বর্ষায় মেতেছি ছেলের দলের সাথে জল ছিটানোর খেলায়৷
হে রাজপথ,
"না ই বা হলাম তোমার ন্যায় রাজনীতিতে পটু,
না ই বা করলাম রাজা-প্রজাদের মধ্যে ভেদাভেদী,
আমি ভাল আছি,রাজপথ...
করছে না মোর অঙ্গে কোথাও রাজনৈতিক ক্ষত দগদগ...."
বয়স হয়েছে অনেক৷ ভাবছিলাম অবসরের কথা৷ হলাম তো অনেক সংগ্রাম- আন্দোলনের সঙ্গী৷ এবার নয় মুক্ত করা হোক আমায়৷
আচ্ছা আমি কি কোথাও ভুল করে ফেলছি? অবসর বলে কিছু কি আছে এ জীবনে? আমার জীবন বলতে তো শুধু পাথর আর পিচের স্তর৷
জানো অনেক ভোরে ঝাড়ুদারগুলোর ঝাড়ুর সুড়সুড়িতে নতুন জীবনের গন্ধ ভাসে....

ইচ্ছামৃত্যু

চেয়ারে বসে দিনগুলো বেশ কাটছিল৷ সারাদিনের ঝণ্ডাধারি সমাজের থেকে অনেক দূরে বসে নিজের মৃত্যুর ছন্দ গড়ি.সমাজ কে ত্যাগ করেছি ছেলের মৃত্যুর পর থেকে৷  নিজের বলতে তো আজ এই চেয়ার আর সামনে পড়ে থাকা সিগারেটের প্যাকেট৷ পোড়া দেওয়ালের ফাটল দিয়ে ভেসে আসছে "চলছে চলবে"এর শব্দে৷ যখন পিচের ওপরে চাকা ঘষার শব্দটা যখন খুব একঘেয়ে লাগে তখন ছন্দ পরিবর্তনের জন্য টিনের চালে বৃষ্টির আশ্রয় নিয়ে ফেলি৷ সকালে ঝর্ণার মায়ের রান্নাতেই দিনের পর দিন পেরিয়ে এলাম৷ কতদিন দেখিনি রাস্তায় জমা জলের মুখ৷ জানো ছোট্টবেলা ওই জমা জলেই দাপিয়ে কতো অকাল জ্বরের আগমন ঘটিয়েছি?
সব দেখোছি জীবনে তাই হয়তো আজ বুকে জমে এত বিতৃষ্ণা৷ না আছে আপন না পর,আছে বলতে শুধু কাছের মানুষের আচ্ছন্নতা৷ মনটা আজ বছর চারেক প্যারালাইসিসে আক্রান্ত৷ ভাবনার শক্তিকে গ্রাস করেছে বিষাদের অভয়ারণ্য আর বেঁচে থাকাকে?
তাকে তো সেই কবে হত্যা করেছে অবসরপ্রাপ্ত পঙ্গু জীবন৷ পা টা খুইয়েছিলাম অফিসের সিড়ির বিশ্বাসঘাতকতায়৷ হাতদুটো সারাদিন ব্যস্ত দেশলাই জ্বালানোর খেলায়৷ খুব ইচ্ছে ছিল মুখাগ্নিটা ছেলেই করবে আমার.কিন্তু সেটাই বা হলো কই? তাই আজকাল সাময়িক মুখাগ্নি নিজের নিজেই করি৷
বাঁচবার ইচ্ছে ও শক্তি দুটোই হারিয়েছে ধর্মতলার ট্র্যাফিকের  মাঝে৷  মস্তিস্কে আজ পর্যন্ত কোনও আঘাত পাইনি সেটা আগেই বলে রাখা টা জরুরী৷ কারণ আমার জীবনের লক্ষ একটাই৷ নিজের প্রাণ ত্যাগ করা৷ শুনে মনে হচ্ছে তো,এ কিরম লোক রে বাবা? কিসের এত মরবার সখ?জীবনে কীসের এত বিষাদ?
সত্যি বলতে আমি মেন্টালি এখনো ঠিকঠাক আর জীবনে হাজার বিষাদের কারণ ঘটেছে বটে তবে সেগুলিকে প্রাণত্যাগের ইচ্ছের জন্মদাতা নয়৷ আসলে যতটা বাঁচবার ছিল সবটা বেঁচে নিয়েছি৷ আর বিশেষ করে বাঁচবার ইচ্ছেটা হারিয়ে ফেলেছি৷ তবে কাপুরুষ নামক স্মৃতি হয়ে থেকে যেতে চাইনা এ সমাজে তাই সুইসাইডের চিন্তাকেও ত্যাগ করেছি৷ শুনেছিলাম ইচ্ছামৃত্যুটা ভারতে অসামাজিক৷ যেখানে জন্ম নিয়েছিল ভীষ্ম,যেখান থেকে এ ইচ্ছামৃত্যুর পুঁথিকরন সেখানেই আজ সেটি অসামাজিক৷ জানো খুব ভোরে আমি দেখি নিজের মৃত্যুর নাটক৷ রোজ সেটিতে যোগ করি নতুন দৃশ্য আর বাড়িয়ে তুলি মৃত্যুর প্রতি রোমেন্টিকতা৷ কিন্তু তারপর চোখ খুললেই ফিরে আসি তোমার সমাজে যাকে আজ পর্যন্ত দেখার বা বোঝার সৌভাগ্য ঘটেনি৷  তবে দেখার যে খুব ইচ্ছে ছিল কখনো সেটাও নয়৷  শুধু দেখা হলে প্রশ্ন থাকবে একটাই,
" ইচ্ছামৃত্যু কি ভুল ছিল? নাকি অকারণে বেঁচে থাকাকে আপনি সামাজিক বলে ভাবেন?"
তারপর বিষ হাতে মনে হলো ,"ধুত্তোর সমাজ"

প্রাণহীন...

"চোখ খোলো..."
"কে আছিস ...আয় রে..."
ডেকেছিলাম সবাই কে সেদিন যখন নদীর পারে ফুলে সজ্জিত তোমার কোমল দেহটাকে দেখি,
কেউ সাড়া দেয়নি জানো?

তা কোন বাড়ির বউ হে তুমি?
আচছা বুঝলাম... মৃতদের আবার বাড়ি-ঘর , জাত-পাত।

তুমিও জানো আমার মতো,
না আছে বাড়ি-ঘর , না আছে নাম-ধাম,
ভবঘুরে হয়ে থাকব আমি বেঁচে আর তুমি স্মৃতি হয়ে।।

সাত দিন ধরে আজ তোমার নিশ্বাস অপেক্ষায়,
কি এমন দোষ ছিল এ সমাজের?
প্রকৃতিতে তো তোমার আমার বলে কিছু নেই,
তবে এ জীবন- বিতৃষ্ণার কারণ কি?

জানো ওরা আমায় পাগল বলে,
প্রাণহীন দের সাথে দিন কাটাই তো...তাই হয়তো।
কিন্তু কার মধ্যেই বা প্রাণ আছে ?
চারিপাসেই তো প্রবেশ করেছে বিশ্বাসঘাতকতন্ত্রের কীট,
প্রাণহীন দেহগুলিতে খুঁজে পাই সত্যতার ছোঁয়া,
প্রাণ থেকেও যারা প্রাণহীন, শূন্যহৃদয়ধারি তাদের ধিক্কার জানাই...
পাগল তো...
এ সমাজে তাই একা পরে যাই।।

আঁতেল...

আমি তাকে চিনি,
আমি তাকে দেখেছিলাম,
সহস্র ঝান্ডার মাঝে শব্দের বিদ্রোহ গড়তে,
নিজ মনে সারাদিন  বিড়বিড় করতে,
আমি তাকে চিনি।

সেদিন সে পড়ে ছিল মদ্যপ জীবনের রেল লাইনের ওপর,
হয়তো ভালবাসা জোটেনি কপালে,
ভোরের বাসে সে বেলা বোসের বাড়ি কাজে যেত,
তবে আজ নিখোঁজ সে আজগুবি কথাবার্তার আঁধার,
চেনা পৃথিবী আজ তাকে ত্যাগ করেছে,
ভিড়েছে সে ভবঘুরেদের দলে,
বেশ ভাল কবিতা লিখত সে,
সেসব বন্ধ ছেঁড়া ডায়রির দেওয়ালে,
আমি তাকে চিনি,
আমি তাকে দেখেছিলাম।।

চাহনিতে প্রেম

বৃষ্টি পড়ছে ছিটেফোঁটা,সবে কলেজ ছুটি হলো। বাইরের আকাশটাকে দেখে মনে হলো আজ কালো পতাকা উড়িয়ে মেঘের দল কিসের প্রতিবাদে ব্যস্ত।বাড়ি ফেরার খুব একটা তাড়া নেই। সত্যি বলতে কোনও দিনই থাকে না সে তাড়া। সেমেস্টারের শুরু তাই পড়াশুনার চাপটাও বলতে গেলে নেই। তবু পেটের খিদেটা অনর্গল বাড়ি ফেরার চিন্তাকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। দাড়িয়ে না থেকে সোজা বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতেই দৌড়লাম সামনের মোড়ের দিকে। চটজলদি বাস ও পেয়ে গেলাম। সোজা উঠেই সিটের খোঁজে চোখ পড়ল শেষের কোনের সিটটার দিকে। জানলার ধারের লোভে ,সোজা ওটিতে গিয়ে বসলাম। বসতে না বসতেই বাসটি আবার দাড়ালো। দেখলাম ফাঁকা বাসটা নিমেষে ভরে উঠলো।
               আর দেখলাম তাকে......
                                              সেদিন তার পরনে লাল চুড়িদার। বৃষ্টির ভয়ে তার চুলটাও বাঁধা আজ। না, আমি আগে কখনও  দেখিনি তাকে। তবে দেখে মন বললে "এরই ছবি আঁকবার চেষ্টায় তুমি নষ্ট করেছ কত বইয়ের শেষ পাতা। কত দিন ক্লাসের বাইরে কান ধরতে হয়েছে এই রূপকথার শান্তিমূর্তির রূপ প্রতিষ্ঠার দোষে।" তাই আজ তাকে এত চেনা লাগছে।  আড়চোখে তাকিয়ে রইলাম তার দিকে। সে বাসে উঠে বসল সামনের আড়াআড়ি করা একটা সিটে। বাসটা আবার চলতে লাগল। তবে আমার চোখের  পলকগুলো তখনও স্থির। চোখ দুটো যেন খুঁজে পেল চেয়ে থাকার ঠিকানা। কোনও এক অজানা অচেনা রাস্তায় হঠাৎ পা রাখতে চাইল মন।
            মনে মনে তার অজানা নামের ঠিকানায় চিঠি লিখলাম, " কে তুমি? জানো রোজ তোমার জন্য আমায় কান ধরতে হয়েছে। ভেবেছিলাম তুমি বইয়ের শেষ পাতাতেই থেকে যাবে চিরকাল। আচ্ছা তবে এরকম খনিকের দেখা কেন? "
সে তার চোখের চাহনি দিয়ে বললে, " আমায় নয় বেনামেই মনে রাখলে।মনের দুয়ারে কি নাম না জানা লোকেরা স্থান পায়ে না? " । ভুরুটি কুঁচকে সে যেন আরও বললে, "ক্লাস ফাঁকি দেওয়ার কারণ তাহলে আজ আমি? "......
হঠাৎ তখন বাসের ঝাঁকুনিতে দেখলাম বাস কন্টাক্টার অনেকবার টিকিটের দাম চেয়ে ও সে চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে রেগে লাল। পুরো বাস ভরতি লোক তাকিয়ে আছে আমার দিকে। এবার বুঝলাম "তার ভুরু কুঁচকে" আমার দিকে তাকানোর কারণ। তবে মন বাস্তবটিকে অবহেলা করতে চাইল।
                  তারপর বেশ কিছুক্ষণ বাদে সে আবার তাকাল। যদিও আমার চোখ এক মুহূর্তের জন্যও তাকে হারায়েনি। চোখে চোখে সে যেন বললে, " কি এত ভাবচ্ছো? এ তো খনিকের প্রেম... এত কি প্রশ্ন লুকিয়ে তোমার আড়চোখে তাকানোর ভিতরে? "
আমি বললাম,"চোখের পলকে যে ভালো লাগা জন্ম নেয় সে কি আজও অবৈধ স্মৃতির পাতায় বেচে থাকে শুধু?"
জবাব পেলাম," ধুর পাগল,আমায় দেখে এত বাংলা আওরানোর কিছু হয়নি...এরকম কত ভালবাসা আসবে যাবে...তবে পারলে তোমার ক্লান্ত ক্লান্ত ঠোঁটের মাঝে হালকা মুচকি হাসির স্মৃতি করে রেখো আমায়"
                  মনের কথোপকথনের ফাঁকে হঠাৎ বাসটা থামল। তারপর সে উধাও...আবার কেমন পেটের খিদেটা চাগাড় দিয়ে উঠলো। তবে মনে মনে বললাম ...হয়তো বা কোনও এক ছেঁড়া অবহেলিত পাতার উদ্দেশে ..." কি অদ্ভুত ছিল এ ভাল লাগা। কোনও চাওয়া পাওয়ার আশা নেই,কোনও মনোমালিনতা নেই...ছিল কিছু ডায়রির পাতায় তুলে রাখার মতো স্মৃতি শুধু..."
          খিদেটা তারপর গ্রাস করল সব চিন্তাভাবনা গুলোকে। বিছানায় শুয়ে অনেক রাতে সে স্মৃতিগুলো খুব হাসায়...আর দূর কোথাও থেকে আবছা সুরে ভেসে আসে...
" ভিজছে কাক আয়না থাক দেখুক
তোমায় ফুলের দল...
পথের বাঁক আনতে যাক বৃষ্টি ধোয়া
কলসি জল...
শহরতলি জুড়ে গলির মোড়ে মোড়ে
তোমায় নিয়ে নিয়ে গল্প হোক...."

তুই...

বিরক্তিবোধ গুলো কিরম জটলা পাকিয়ে গিয়েছে কাঁচের দেওয়ালের আড়ালে,
আড়চোখটাও অকেজো মনের উদ্ভট নাকউঁচু সিদ্ধান্তে।
ক্লাসরুমটা মনে পড়ে?
উফ! সেই চক ছোড়া স্মৃতিগুলো?
ভালো লাগাটা আজ দশটা-পাঁচটার রুটিনে মগ্ন,
আর ভালোবাসাটা বালিশের নিচে অবসরপ্রাপ্ত।
তবে খুব ভোরে আজও ঘুম ভাঙ্গে ,
টিউসান ফাঁকি দিয়ে যে চোখ তোর ঘুমন্ত মনকে ছুঁয়ে যেত,
সে আজ ট্রেনের অপেক্ষায় স্টেশনে দাড়িয়ে।
জানিস,
চিন্তাগুলো রূপ পেয়েছে আজ সেই কোনও প্রতিবাদের মঞ্চের আঁকা ছবির রূপে,
জানিস,
পকেটটা আজ টেনে নিয়ে যায় সেই আইসক্রিমের দোকানের গলিতে।
তবে ভয় করে...
কাঁচের দেওয়ালের ওপারে আজও বিরক্তির আস্তিন বুনছিস তুই,
পাথর মারলে যদি হঠাৎ ভেঙ্গে পরিস তুই।
ক্লাসরুমগুলোতে আজ দল বেঁধেছে নতুনদের সারি...
তবুও লাস্ট বেঞ্চের কোনও কোণে আমরা বেঁচে আছি।