তুই দেখবি আয়...

হাতের মধ্যে হাত ডুবিয়ে,
নরম চাহনির আদলে
চাতক চোখে দেখার চেষ্টায়,
তুই দেখবি আয়....

আবার সকাল প্রেম-আঘাতে,
চোখের কোণে কাজল টেনে,
কখনো এলোমেলো গলিতে,
তুই দেখবি আয়....

বিকেলটা তোর স্কুল বাসেতে,
আকাশকুসুম চিন্তা ঘিরে,
অগোছালো চুল এরিয়ে,
তুই দেখবি আয়....

আমি বসে পার্ক-স্ট্রিটে
কফির চুমুক - ধোঁয়াটে আকাশে,
পরজন্মের দিকে চেয়ে,
তুই দেখবি আয়....

নেই আমি স্বশরীরে,
আছি ডায়রি বন্ধি গন্ধে লুকিয়ে,
রোমেন্টিকতা প্রেম বিল্পবী ভাষায়,
তুই দেখবি আয়....

আরও একশো বছর পর,
মৃত্যু আবার করলে ক্ষমা,
প্রতি রাতের ঠান্ডা হাওয়ায়,

আমি আসব ফিরে....

আমি রমা...


আমি রমা...
বয়েস ২০ বছর...
নাহ! কোণও স্কুলে পড়ি না।
সদরে আমাদের একটা হোটেল আছে
ওখানেই কাজ করি...

সন্ধ্যাবেলাটা পাশের বন্ধ দোকানের গায়ে হেলান দেওয়া সাইকেলের ওপর বসেই কাটাই...
জানো দেখি কত আমার বয়েসীরা পিঠে ব্যাগ ঝুলিয়ে পড়তে যায়...
আমারও মাঝেমাঝে ইচ্ছে করত আগে ওদের মতো ছুট্টে বেড়িয়ে যাই...
যখন মা ছিল তখন...
তখন মায়ের কাছেই শুনতাম লেখাপড়ার কথা...
তারপর...
তারপর আর হয়ে ওঠেনি...
তবে অবচেতন মনে আজও আকাশ ছুতে ইচ্ছে করে...
পরও ক্ষনেই আবার ফিরে আসি জিবনের সত্যে...
আমি যে গরিব...

জানো আমিও বাকিদের দলে মিশে, রঙিন জীবন বানাতে চাই...
হ্যাঁ চাই...
এখনও চাই...
মাঝে মাঝে নিজের নারি সত্তাটা দরিদ্রতার ওপর বোঝা হয়ে পরে...
সেদিন ঝুমা মাসির ছেলে রতনরে হাতের স্পর্শে শরীরটা কেমন ছ্যাত করে উঠল...
ছোটবেলার বন্ধু ও আমার...
জানো...
আমি বিবাহিত...
তবে বর রাখেনি আমায়...
কেনই বা সে রাখবে আমায় তার বাড়িতে?
বাপের পয়সা কৈ...
বাবা যে আজও তার ঋণ মেটাতে অক্ষম...
মাঝেমাঝে ইচ্ছে করে বিলিয়ে দি নিজের ইচ্ছে এক রাতের প্রশ্রয়ে...
কিন্তু সে যে কেবল একটা রাত...

পুতুল খেলার বয়স হারিয়েছি মাতৃহারা অভাগী রূপে...
আর যৌবন?
যৌবন আজও হারাচ্ছি...
প্রতিমুহূর্তে দারিদ্রতার সাথে লড়ে...



আসলে...
হাত ধরে বাবা ঘুরতে নিয়ে যায়নি কখনও...
ঘুরতে গেছি শুধু শোবার ঘরে আর...
অহরহ যৌন লাঞ্ছনায়...
ছেঁড়া জামার ফাঁকে পুরুষের উষ্ণতায়ে...


আমার এ গল্পের কোণও শেষ নেই...
কোণও প্রাপ্য নেই...
রোজকার ধংশচেতনায় পুড়ে যাচ্ছে এ শরীর...
জীবনের এ মুখ ফিরিয়ে নেওয়া অবাক করে আমায়...
আর বেশীদিন নয়...
আমি জীবনকে প্রতিনিহত ঠেলেছি বাধের খাতায়...

আমি রমা...
বয়েস ২০ বছর...
নাহ! কোণও স্কুলে পড়ি না।
সদরে আমাদের একটা হোটেল আছে
ওখানেই কাজ করি...


সন্ধ্যাবেলাটা পাশের বন্ধ দোকানের গায়ে হেলান দেওয়া সাইকেলের ওপর বসেই কাটাই...

The Night Before......


She fumbled on the corner of the dark room.Her eyes picted a yellow fame of bohemia for she knew it was her last day in her house.The state had announced already to move the civilians to the mobile parts of the city.Hiroshima, the city on Emergency, that’s what the newspapers potrayed. The girl alone in the dark room cleaned the old portrait of her father.The old stout man in the frame dressed in Army colours posed in a proud manner for he was the Major of the Battallion by then.On the other hand the girl in front of him, separated by by a frame burst into tears removing the dust fallen due to ages on him.
A war…..
A war made that old good smile last forever…
A war made a lean merciful figure burst into tears….
A war that will make a girl homeless by next few hours…..


An hour later,in her unconsciousness she heard the world break down.For a while,she thought of the Almighty to have broken its creation into pieces.A bang on her head and there again she was left in unconsciousness.Bleeding all over she saw her father again after 3 years.

She: (in grief) look, what your waging war has caused father….
Your girl…
Your princess’s life is on bid here….
Ahh! You proud old man…
How can you create me for you boasted of devastation? ...

Major: (being out of action, grasped with grief, sat on the old chair)
 My girl….
You remember those old days when you used to dance on my lap?
Those happy days came because I waged war…
Had not I waged war, you could have never smiled like you used to….
Had not I waged war, we would have never filled your wadrobe with dresses you never wore the second time….
I boasted of war coz war gave me the pride and position in the society I had in my days….

With blood squeezing out of her mouth,She smiled…..
She: (a grey sarcasm on her face)
You….
Yes, sir…
You….
Don’t you think that has made all the difference? ....
Your war is killing me in bits and pieces every moment now and then…
Sir, you lost your family, but have you ever thought what I lost in this game of gamble??
I lost a loving father,I lost a father who used to sing for me in my childhood..
I lost my family too….
I m on the verge of getting homeless today…
Poor old man..
Have some mercy on this poor girl….

Major: (silently walked down the streets of bloodshed…)

She saw him for the last time…..
Death felt heavier on her. She could feel her rotten womb with blood all over.She could see the newcomer die before it could see its death.Her pain….
She cried and she cried…..
Death came through the shores of Seto Inland Sea….
Death hit the shores of the Miyajima Island ….

In her dying hours, she saw the world of her own.She saw her children play with her father in the backyard of her house. She saw her man come home after a hefty all day work. She saw her family sitting together on a feast. She saw greenery all over……


6th August 1945,
The New York Times quoted,“ FIRST ATOMIC BOMB DROPPED IN JAPAN;MISSILE IS EQUAL TO 20,000 TONS OF TNT;TRUMAN WARNS FOE OF A ‘RAIN OF RUIN’”…..

She was left unnoticed in the morgue of death with blood showering……..



তুমি আসবে বলে....

শতাব্দী ভেদ করা নিস্তব্ধতা কিসের ইঙ্গিত করে চলেছে?
পালানোর পথ নেই,
দেয়ালবিদ্ধ গুলি চিরতরে পরাস্তদের বার্তা বয়ে এনেছে।
নিস্তব্ধ জলাশয়ের কোণও এক সবুজহীন তীরে,
তোমার অপেক্ষা করেছি মৃত্যু|
গায়ে রেশমের শাল,
হাতে জোনাকির আলো,
গন্ধ রুমালে পকেট শুন্য,
তুমি আসবে বলেছিলে,
তুমি আসবে বলেছিলে নির্বাক অন্তমিলে বানভাসি প্রেম।

কার্তুজময় রণক্ষেত্রে নামহীন তিক্ততা,
তৃষ্ণার্ত মরুভূমির ঘেমে ওঠা প্রহরে,
আমি অপেক্ষা করছি তোমার,
বেয়নেটের নলের ওপাড়ে।
নগ্নতার আবছায়ায় গঙ্গা ঢেকেছে প্রতিমার কাঠামো,
গঙ্গাতীরে রোজ বিকেলবেলা কাটে,
তুমি আসবে বলে আজও জোয়ারে ভাঁটা গোনে,
তুমি আসবে বলে আমার চারকাঠের চ্যালা কাঁধের অপেক্ষা করে।
তোমার অপেক্ষায় রইলাম...
( "মেঘে ঢাকা তারা" নামক ম্যাগাজিনের প্রথম সংখায় প্রকাশিত)

পাগলী তোর সাথে কাটাবো জীবন....

রাস্তার ধারে গলির মুখে ,
পোস্টার সাঁটা সন্ধ্যার আড়ালে ,
দুফালি নিঃশ্বাসে কাটাব জীবন....

আবার ঘুম পাড়ানো বেকার রাতে,
অবহেলা ,অজুহাতে,
বিবাগী মানচিত্রে কাটাব জীবন....

ইহজন্মে পরজন্মে,
অগ্নিসাক্ষী চুমু ঠোঁটে,
বিপ্লবী  কাটাব জীবন....

আরও একশো বছর পর,
জয়-শক্তি অবসানে,
সাহিত্যিক কাটাবো জীবন.....

প্রেম বিপ্লব চোখের কোণায়,
অগ্নিদেব আজ ঠোঁটের ডগায়,
দুর্বিনীত জয়ের গন্ধে কাটাব এ জীবন,

পাগলী তোর সাথে কাটাবো জীবন....

কবি ও কালিদাস...

কালিদাস আসলে বোকা ই ছিলেন......

কলিযুগের কালিদাস বলে যদি কল্পনা করা হয় কবিদের, তবে আবার কবি কাঁদবেন৷
আসলে সমস্যা গড়ে তোলে উপার্জন ক্ষমতা৷ তাই নিজের মনের রেনেসাঁকে ডিভোর্স দিয়ে কবিগণ আজ বিশ্ব রেনেসাঁর সময়কালীন কবিতাগুলো থেকে টুকে মারে৷ ব্যতিক্রমী কবিরাও রয়েছেন, তবে তাদের বিস্তর কোর্স করতে হয়৷ ভাবনা চিন্তার কোর্সে ভর্তি হতে খরচ বেশ ভালোই৷ ৭০% খরচ সেখানে ছ্যাঁকা খাওয়ার আগে আর বাকি ৩০% ছ্যাঁকা খাওয়ার কারণে৷ উপরি খরচা বলতে ওই ছাইপাস খেয়ে নিজেকে রবীন্দ্র-জীবনানন্দ যুগে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা৷ শেষমেষ জগাখিচুরি পাকিয়ে জয়-শক্তি গুলিয়ে রক্ত বমি৷
আজকের দিনে বইমেলায় প্রাধান্য পায় বেনফিস আর ঠিক পাশেই লিটিল ম্যাগাজিনের স্টলে মাছির আনাগোনায় লুকিয়ে বাস্তবতা৷ ওই তিক্ততা সহ্য বেনফিস করতে পারলেও মিত্র-ঘোষ পারবে না৷
কবি মৃত্যু ঘটছে প্রতি পদে.....

ছন্নছাড়া....

ইতিহাস হাতড়ে দেখেছি.....
পৃথিবীর চারপাশে সূর্য বা সূর্যের চারিপাশে পৃথিবী ঘোরা নিয়ে কত বেল্লাপনা৷ অবশেষে প্রাণ হারাতে হল কপারনিকাসকে৷ তাতেও জল ঘোলা বন্ধ হলো না৷ শেষমেষ গ্যালিলিও রক্ষা করলো মাথার ঘাম ছুটিয়ে৷
যাক... সে সব থাক,
১৭শ সতাব্দীর মাঝামাঝি তখন, সবে এলিজাবেত সিংহাসনে বসেছেন তখন লাফালাফি শুরু হলো সাহিত্য চর্চার৷ রানীর কাজ কাম বলতে ওই খাজনা আদায়ের হিসেব আর খৃষ্টধর্ম নিয়ে নিলামে বুলি৷
রাজপ্রাসাদ থেকে খানিক দূরে দিনমজুরদের একটি বস্তি ছিল৷  যতই দেশ জুড়ে সাহিতের ঝড় বয়ে যাক না কেন.... ওখানে অনাহার আর রোগ-ভোগই ক্ষমতায় ছিল৷ ফলে ভাষা আর অলংকার জেদ করে বসলো৷
ব্যাস দিয়ে খন্ডযুদ্ধ সুর- তালের, ছন্দ আর ফ্রী ভার্সের৷ গোলমালের শুরুটা অনেকটা এমন ছিল....
রানীর সভায় কবিতাপাঠ না হলে রানী মটামুটি উপোষ করে থাকতেন বললেই চলে৷ সে রকমই একদিন কবিতা পাঠ হচ্ছে ,
" আমার তরোয়াড়ি তোমার বক্ষে লাগে,
আমার জয়, তোমার পরাজয়ের রক্ত দগদগে..."
হঠাৎ ভীর থেকে এক যুবক বলে উঠল....
" স্যার , লাগের সাথে দগদগেটা ঠিক খাপ খাচ্ছে না....
শব্দ না মিলিয়ে একটু ডেপ্ত আনুন স্যার...."
কবি তো রেগে লাল৷ আর রানীর অবস্থাও সুবিধের নয়৷ উপরন্তু বেটা বস্তির ছেলে, তার মুখে এত কথা৷ ফলে তার হাজতবাস আটকানোর ক্ষমতা কারোর ছিল না৷ হাজতবাসের পশ্চাতে সে লিখলো বেশ কিছু কবিতা, তবে সে কবিতা ছন্দহীন৷
তার লেখা কেউ পড়লো না....
অবশেষে তার এই সাহিত্য নিয়ে "ছেলেখেলার" জন্য তাকে প্রাণ দিয়ে বসতে হলো৷
তাকে আজ কারোর মনে নেই...
তবে যেিদন বঙ্গপুত্র জীবনান্দ দাস তার ছন্দ ছাড়া কবিতাগুলির দ্বারা বাংলা সাহিত্যে রেনেসাঁর জন্ম ঘটালে , সেদিন অলক্ষ্যে বসে খুশিতে ফুঁপরে কেঁদেছিল সে যুবক৷
আজ তার বয়স হয়েছে, সে আজ মৃত্য তবু সে ই যে ছিল এ বদলের প্রথম মুখ৷
বব  ডিলনের নবেলপ্রাপ্তি তাকে মুগ্ধ করে তুলেছে,আজ সে আকাশ পথে গলা ফাটিয়ে নিজের কবিতা পাঠ করে,
" অসহ্য তাপ পেরিয়ে পৃথিবীর পথ হেঁটেছি আমি,
জীবন আমার ছন্দ দেয়নি, খুঁজে শুধু তাই তোমারে৷"

এলোমেলো.....(The Window Connection)

জানালাটা খোলা থাক.....
ওখান দিয়ে ভবিষ্যের রশ্মিকনা অতীতের রঙে মিশে বর্তমান সৃষ্টি করে৷
ওখান দিয়ে নকশাল ছেলে ঘুড়ি ওড়ায় ৷
হ্যাঁ আজও,
আজও সে জীবিত, জীবিত সে বাল্যকালের ওলি গলি ছুটে পেড়োনোয়৷
জীবিত সে ক্ষমতার বেউনেটের ডগায় মাথা ঠেকিয়ে,
মাথানত করতে শেখায়নী তাকে তার দর্শন৷ সে জীবিত মার্ক্স-লেলিনের নীতি আওড়ে, সে জীবিত চে-ক্যাস্ত্রোর সত্তে৷
আজও সে জীবিত জানালার ওপাড়ে চলাফেরার আদলে৷
কিছু প্রেম হাজার বছর পথ চলে না, দু চার বছরের অনাহারে আত্মহত্যা করে৷ মেয়েটির গলার দড়ির দাগে আমি লালচে সিঁদুড় দেখেছি, ছেলেটির মুখ থেকে ছিটকে পড়ে থাকতে দেখেছি আলতার দু-চার ছিটে৷ আমি দেখেছি অভাবকে দম্ভিক অট্টোহাস্য করতে৷  দেখেছি ভালবাসাকে দুফোটা চোখের জল কুড়োতে৷
আজও জানালা খুললে আমি তাদের দেখি৷ দেখি শীতের দুপুরে তাদের রোদ পোয়াতে৷ দেখি মৃতদের ভীর থেকে সহস্র মাইল দূরে সুখে সংসার বাঁধতে তাদের, যেখানে হত্যাকারী সমাজ মৃত৷
অনেক ভোরে দুধওয়ালার সাইকেলের ঘন্টায় ঘুম ভেঙ্গে যায়৷
নাহ! আমি কখনো দেখিনি তাকে৷ সে সকাল নিয়ে আসে ঘর ফেরা ছেলের বাস্তবতায় আবার হারিয়ে যায় রূপকথার নীরবতায়৷ সে বয়ে চলেছে সমাজের রূপক৷ সে বয়ে চলেছে জীবনকে মৃত্যুচেতনার পশ্চাতে৷
নিচে বোধহয় খবরের কাগজের ছেলেটা এসেছে৷ জানলা দিয়ে দেখলাম তার সাইকেল দাড়িয়ে বাড়ির সামনে৷ আজ তার টাকা মিটিয়ে দেওয়ার পালা৷
ডায়রির পাতা উল্টোচ্ছে জীবন মৃত্য স্বপ্ন,জীবিকা আর বিদ্রহের সুরে.....
পাশের ঘরের সিম্ফোনিতে হয়তো বাজচ্ছে,
" মেঘ নয়, তোমার আঁচল হয়ে উড়তে চাই,
আকাশে নয় , তোমার নীলাঞ্জনে বাঁচতে চাই" ৷
                                

অনিন্দিতা.

জানালাবন্দি প্রেম যখন এক মুঠো সূর্যের সন্ধান পেত,
জানালে বাঁধ ভেঙ্গে নয়,
সূর্যের অস্তাগামী রশ্মি কনার আদলে,
তখন দুফোটা কাক ভেজা বৃষ্টির রেষে,
চাদরটানা উষ্নতায়,
তোমার কাজলের ওলট-পালটে ,
তোমায় মেখেছি আমি৷
রূপকথার গল্প শুনেছি জানো অনেক,
ঠাকুমার আদরে৷
কখনো চোখ ছোঁয়েনি সে রূপকথায়,
দুমুখো বাস্তবতা আজ সজোড়ে আঘাত করে,
আজ সে রূপকথারা হাতছানি দেয় ,
জানালার ওপারে৷
আমার রূপকথার বিসার্জনে,
তোমায় ভাসিয়েছি আমি৷
অন্ধোকার ঘরে বন্ধো থাকা স্মৃতির পাতা উল্টোচ্ছে দীর্ঘনিশ্বাস,
কলমের কালী ফুরিয়ে এসেছিল,
মুহুর্তের কালবৈশাখীতে আবার হারিয়েছি অনেক পাতা,
তারপর হঠাৎ আবার,
বেড়ে  ওঠা আর  বড়ো হওয়ার বার্ধ্যকে আবার ফিরে আশা,
আবার ডেকে ওঠা অসময়ে,
গভীর রাতের,
পথচলায়৷
তোমায় খুঁজেছি আমি হাত ধরা বিকেলবেলায়,
কলেজস্ট্রিটের কথা বলায়,
বেহিসেবি চলাফেরায়,
অযস্র চিন্তার আনাগোনায়৷৷