স্বপ্নের Accident...

ছোট্ট শিশুটি ফুটপাথে কাঁদে
খাবার জোটেনি কপালে দুদিন
গাড়ির ভিতর কাঁচ তুলে
কাটছে তোমার সুদিন ||

পৃথিবী হয়তো আলাদা
CCD,CC1 গুলো তোমার খুব চেনা
আর তার চেনা ডোবা পুকুরের ধার
যতই হোক পৃথিবীর ফারাক আকাশটা তো সবার ||

শীতে জরোসরো তুমি
গরম পোষাকের নীচে
সে ও জরোসরো
তীব্র শীতের কবলে ||

চোখ বুঁজে সে স্বপ্ন দেখে তোমার মতো হতে..
ক্ষুধার্ত পেটে সে ভাবে বসে যদি একটা নোনা দেওয়াল যোটে....
হঠাৎ তখন মধ্যরাতে যখন সে স্বপ্নে ভাসে..
তোমার গাড়ির শিকার সে ,তোমার মাদকতার বেসে ||

চেয়েছিল সে দুফালি শরীর ঢাকার কাপড়....
তোমার মতো লোভ ছিল না ওর..
তার হতো স্বপ্নে ভোর
আর তোমার স্বপ্নেও ভাসছে পয়সার জোর |||

শুনতে পারছ প্রেম?....

ধুলো গুলো খুব দামি ছিল যেখানে আমরা বসতাম..
ঘাসের দলের উষ্ণতায় তোমার কোলে মাথা রাখতাম..
সাইকেল চড়ে পুকুর পাড়ে,
ওখানে আজও প্রেমিকের দল ঘোরা ফেরা করে||

বৃষ্টি ভেজা লতা পাতারা যখন চোখ বুজে থাকতো...
আমাদের মনটা তখন নানা স্বপ্ন আঁকতো...
    কাদামাখা ওড়না গুলো কি এখনো ডেকে আনে অকাল মেঘের দল কে?..
বই গুলোর মাঝে বৃদ্ধা গোলাপ গুলোর চোখ ছলছল...
কবির পৃথিবী আজ আচ্ছন্নতায় করে অবিরাম টলমল||

ভুল গুলো ছিল অঙ্কের খাতায় উজ্জ্বল
ইংরিজী বইয়ের বাইরে অল্প আশকারাতে উঁকি মারে অগোছালো কথার দল...
ভাবনা ছিল অনেক তবে ছিল ভাষার বিদ্রূপ..
খাতার লেখা গুলো তাই আজ শব্দের ধংসস্তুপ||

"মানুষ টা বড্ড সেকেলে নাকি চিন্তা ধারা হারা??"...
এসব আজ কানে আসে পার্কে বসে বলছে যেন কারা
যাদের দায়ে বেকারত্ব আঁকড়ে কলম তুলি
তাদের মুখে ফুটছে বুলি...

শুনতে পারছ প্রেম?..

নারীত্বের ইচ্ছে

ছোট্ট বেলায় মায়ের কোলে
এলো যখন লক্ষ্মী রূপে
আলো করে ব্রহ্মান্ড।।
মেয়ে হয়েছে একি কান্ড

ছোট্ট গিন্নী উঠোন পাড়ে
রান্না বাটি ধুলোয় মাখে
বাবা বললে চা দিবি মা?
সমাজ বলে মেয়ে তো.... একি জ্বালা!!

চুল গুলো আজ বড় হয়েছে
আয়না দেখে বিনুনি বাঁধে
ইস্কুলে যায় সময় বেঁধে
এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্নে ভেসে

হঠাৎ একদিন ফিরতে হল দেরী
স্বপ্ন গুলো পার দিল যে অপূরণের তরী
মেয়েটা যে বড় হয়েছে
মা বললে এবার বিদায় দাও তো পাত্র দেখে

রান্নাবাটি বস্তা বন্দী
ফেলে এল সে নিজের বাড়ি
অচেনা সব লোকের মাঝে
আবার করে সে স্বপ্ন খোঁজে

ভোর বেলা তে স্নান করে
দুপুর বেলা সে ভাত বাড়ে
সংসার কে ধর্ম মানে
স্বামী কে পূজন করে...

হঠাৎ করে দেবশিশু রূপে
আরেক নারী তারই কোলে
আবার স্বপ্নের আস্তিন বুনে
নিজের অস্তিত্বে আলো জালে

আবার এলো বিদায় পালা
থাকতে হবে তাকে ছাড়া
যাকে নিয়ে বেঁধেছিল ভূবন
সমাজ বললে, মেয়ের বিদায় তো ! কি আর এমন

তেলের শিশি উলটে পরে
চুল গুলো নিজ খেয়ালে ওড়ে
মাটিতে লুটোচ্ছে আঁচল শাড়ির
এ কেমন রূপ আমার নারীর

জীবনটা আজ শেষের পাতায়
হরি নামেতে সে দিন কাটায়
কখনো হালকা হাওয়ার ফাঁকে
ভেবে যায়....আপন ইচ্ছেতে ও তো মানুষ বাঁচে

ভাবনার মাঝে তার আজ বিদ্রোহের গন্ধ
দেখে কত নারী হারিয়েছে জীবনের ছন্দ
চিন্তা ঘোরে চারিপাশে
আপন ইচ্ছেতে ও তো মানুষ বাঁচে.....

প্রেমামৃত

আনাচেকানাচে এখনও তোমারই গন্ধ
কবিতা লেখার ছলে আজও হারাই ছন্দ
আমার কবিতার পাতায় তোমার আঁকিবুকি
আজ ছন্দহীন জীবনের অক্ষচক্র শুধু তুমি

রাতের তারারা আজ কন্ঠ ছেড়ে কাঁদে
ভোরের তারারা হারিয়ে যাওয়া স্মৃতিদের হাতছানি দিয়ে ডাকে...
নি:সঙ্গ পৃথিবীর মাঝে তুমি এসেছিলে
ক্যানভাসে পরে যাওয়া নানান তুলির সাজে

ব্যস্ত জীবনের থেকে পীঠ বাঁচিয়ে হারিয়ে যাওয়া...
আজ Ceiling এ ভেসে ওঠে ...
অস্থিরতা গুলো ঈশান কোণের এক বাক্সে বন্দী...
তোমার স্মৃতি গুলো আঁকড়ে মন বেঁধে চলেছে নানান ফন্দি...

ট্রামে করে যখন অনেক রাতে ফিরি
তখন হঠাৎ শুনি তোমার কান্নার শব্দ
একদিন নেমে পড়লাম চলন্ত ট্রাম থেকে
মন বললে তুমি ডাকছো রাস্তার ওপার থেকে

তারপর সব শুন্য ...
স্মৃতি গুলো রয়ে গেল পার্থিব
চোখাচোখি অন্য প্রেমের সাথে...
আসব আবার নতুন জীবনের সঙ্গে

....অপেক্ষা করো নতুন বসন্তের জন্য....

প্রেমাতুর

Tution এ তোর অপেক্ষায় থাকা হাত ঘড়ি গুলো বন্ধ আজ।।
সেই ক্লাস ফাঁকি দেওয়ার ও কারন পাই না যে।।
ঘুরে দেখবি একটু????
আমাদের অন্ধকারের পিঠে আঁধার জ্বেলে
পড়ার গলি তে সেই হাত ধরা ধরি।।।
হাত ঘড়িতে চারটে,,,
গেট এর বাইরে আমি,,
আর আমার,"হেঁটে যাবি plz??"....

...কাঁদছিস নাকি?
তোর যাওয়া যেমন ছিল সময়ের পরিহাস...
সেরকম একটু একটু করে সময়ের অগোচরে বদলে গেলাম আমরা।।।
আজ তুই দিন গুনছিস আমায় ভোলার....
আর আমি.....
দাঁড়িয়ে তোর বাড়ির রাস্তায়....
কোন এক বৃষ্টি ভেজা  অন্ধকার সন্ধ্যার খোঁজে।।।

অধ্যায়


কলম ফসকে জলের তলে
পাতা গুলো আজ গল্পে ওড়ে
জীবনের অক্ষকর্ণ দিয়ে চলতে ব্যস্ত
অসংলগ্ন ধারাপাতে সহসা ত্রস্ত

জীবন আজ খদ্যোৎ রূপে
আলো জুগিয়ে আঁধার রাতে
অন্ধকারের ও পিঠ দিয়ে
আলো-আঁধারি ভূবন চলে

অক্ষক্রিয়ার চালে হঠাৎ
পরাস্ত হয়ে আকাশ থামে
অবাস্তব নীরবতা চারিপাশে
বৃষ্টি জলে আজ এ অন্তর ভাসে

কারাগারের তালা খুলে
মেঘের দল এগিয়ে চলে
আলো-আঁধারি সে ভুবন
আজ ব্যস্ত রুখতে তার মেঘের সাজ...

স্মৃতিদাহ্য


ঘাস গুলো আজ বড় হয়েছে
পায়ের নীচে তবু তারা লুটিয়ে
পাশের বাড়ির চিলেকোঠার দেওয়ালে নোনা
ধরেছে
তবু যিশু ছলছল চোখে তাকিয়ে........
ওহে বিনাশক ভেঙে দাও দুই পৃথিবীর দন্ড ...
হয়ে যাক ফেলে আসা দিনের মিলন...
ফুটুক নতুন ঘাসের দল..
ফিরে আসুক চিলেকোঠার স্মৃতি
জীবিত হোক আমার পৃথিবী
চেনা জগৎ আজ শ্মশানের হাওয়ায় ভাসছে
ঘাসের লাশে দাঁড়িয়ে দেখি যিশু আঁখি জলে
বাঁচছে
নিয়তি হয়তো আবার দাঁড় করাবে অন্য এক
পৃথিবীর সামনে
তবে চিলেকোঠার স্মৃতিদাহের গন্ধ চিরকাল
জীবিত থাকবে এ হৃদয়ে|||