চিরকলঙ্কিত

অরণ্যের ডাকঘরে হরদম মৃত্যু সংবাদ বয়ে এনেছে,
কখনো ডাকটিকিটে হয়ে এসেছে ধর্ষিত নারীর কাপড়ের টুকরো,
কখনো মৃতদেহ মুড়ে এসেছে ধর্মের নষ্টামী,
আবার কখনো বসন্তের কাজল-লতা হয়ে এসেছো তুমি৷
ঋতুস্রাবের লাল আঁচড়ে কত মেঘবেলায় সতীত্বের পরীক্ষা দিয়ে চলেছো,
তোমার ধর্ম প্রতিনিয়ত তোমায় পঙ্গু করে চলেছে,
তবু লিখেছো তুমি,
                            লিখেছো আমাকে৷
উলগুলানের গান ধেয়ে এসেছে মৃত যাযাবরের রক্তাক্ত আস্তিন ছুঁয়ে,
তুমি বসন্তকে হারিয়েছো তোমার লিঙ্গছলের প্রতারণায়,
তুমি প্রতারিত প্রেমিকের দলে  আমাকে ঠেলে দিয়েছ  অবলীলায়,
আমার মৃত্যু তোমার খোলা চুলের অবৈধতাকে কাটিয়ে তুলবে,
কিন্তু কি বা অবৈধ?
তোমার শরীরের হাজার পুরুষের দাগ কেবলই যে অপেক্ষার বার্তা বয়ে এনেছে,
তোমার অপেক্ষা প্রতিরাতে হাজারো মাইল দূরে এক অচেনা আমির অস্থি জ্বালিয়েছে,
অপেক্ষায় আমিও ছিলাম তবে কেবলই অপেক্ষায়৷

তোমার কোন চিঠি আজও ঠিকানায় পৌঁছোয়নি,
তারা ভবঘুরে ডাকবাক্সের অন্ধকারে,
তবু আমি সবই পড়েছি,
পড়েছি মেঘ হয়ে যক্ষের অজান্তেই,
আমার প্রিয়া অলকাপুরীর অন্ধকারে বন্দী,
জানি প্রতারক আমি,
                       বসন্তের হাওয়া চিঠিগুলোকে গা মেলে ধরেছি
ইতিহাস তবু চিরকাল যক্ষের অপেক্ষায় কেঁদেছে,
তার কাছে তুমি অবহেলিত,
আর আমি?
চিরকলঙ্কিত৷৷

1 comment: